Site icon Health News

নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের ১২ জনই ঢাকার

দেশে নতুন করে একদিনেই আরো ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮ জনে।

এরমধ্যে নারী ৩ ও পুরুষ ১৫ জন। নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনই ঢাকার বাসিন্দা।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি ঘটেছে আরো একজনের। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন মারা গেলেন।

দেশব্যাপী গত ২৪ ঘন্টায় সংগ্রহ করা ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন শেষে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব খবর জানানো হয়।

তবে পরীক্ষার সংখ্যা আরো কিভাবে বাড়ানো যায় তার চেষ্টা চলছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

জানানো হয়, ঢাকাসহ দেশের মোট ১৪টি স্থানে এসব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অনেক নমুনা রাতে আসায় সবগুলো পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলেও এসময় জানানো হয়।

সবমিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগির সংখ্যা ৮৮ জন, যাদের ৩৩জন নিশ্চিত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ মুহুর্তে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৬ জন।

কোভিড-১৯ নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, এ পর্যন্ত মারা যাওয়া সকলের বয়সই ৫০ বছরের উপরে।

তিনি জানান, ঢাকার ১২ জন বাদে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন নারায়ণগঞ্জের আর একজন মাদারীপুরের।

মীরজাদী বলেন, সর্বশেষ যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। তিনি পুরুষ, বয়স ৫৫। শনাক্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৩টিই শনাক্ত করেছে আইইডিসিআর।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে এবং তা দেশের অন্যান্য স্থানে ব্যাপকভাবে হয়নি বলেই সাম্প্রতিক তথ্য নিশ্চিত করছে।

মহাপরিচালক বলেন, সরকারি সক্ষমতা আরো বাড়ানো হলেও ব্যক্তিগত কঠোর সচেতনার উপরই নির্ভর করছে করোনা প্রতিরোধে সফলতার বিষয়টি।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে পর্যাপ্ত শণাক্তকরণ কীট রয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরো একলাখ কীট দেশে এসে পৌছাবে।

তিনি বলেন, চিকিৎসাকর্মিদের জন্য পিপিই’রও এই মুহুর্তে দেশে কোনো ঘাটতি নেই।

বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসায় সংকট দেখা গেলেও বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠার দাবি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আইইডিসিআর ছাড়াও শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার কাজ চলতে দেখা যায়।

ঢাকায় এছাড়াও আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, আইসিডিডিআরবি, শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশন ডিজিজেস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরী মেডিসিনে পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে।

Exit mobile version