Site icon Health News

বিএসএমএমইউতে লিভার প্রতিস্থাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সফল যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

সফল যকৃৎ প্রতিস্থাপনে রোগী ও চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২৪ জুন এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ১৮ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ২০ বছরের তরুণ সিরাতুল ইসলামের দেহে তার মায়ের দেওয়া যকৃতের অংশ প্রতিস্থাপন করেন।

সিরাতুল ও তার মা সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দনের কথা জানান।

এই হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়াটিক, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুলফিকার রহমান খান জানান, রোগী ও দাতা দুজনেই সুস্থ আছেন।

এই অস্ত্রোপচারে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জুলফিকার খান। মা ও ছেলে পরে আবার তাদের কাছে এসে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাবেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে পুরোদমে লিভার প্রতিস্থাপন শুরু করতে চায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে বিনা খরচে এই অস্ত্রোপচার করে দিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এই লিভার প্রতিস্থাপনকে ‘যুগান্তকারী’ সফলতা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

লিভার প্রতিস্থাপনে বাংলাদেশি চিকিৎসক দলকে সহযোগিতা করেছেন ভারতের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. বালাচন্দ্র মেননসহ তার চিকিৎসক দল।

বাংলাদেশে এর আগে ২০১০ সালে বারডেম হাসপাতাল দেশে প্রথম লিভার প্রতিস্থাপন করে। তবে এরপর তারা এই উদ্যোগ চালু রাখতে পারেনি।

পূর্ণ বয়স্ক একজন ব্যক্তি তার যকৃতের অংশ বিশেষ অপর একজনকে দিতে পারেন। কারণ যকৃতই শরীরের একমাত্র অঙ্গ যেটা নিজেই ক্ষতপূরণ করে পুনর্গঠিত হয়।

দেশে কত সংখ্যক রোগীর লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি, তা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেছিলেন, প্রতি বছর প্রায় ৫০০ রোগী বিদেশে গিয়ে লিভার প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।

Exit mobile version