শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পরে লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একশ ১৪টি দেশে ছড়িয়ে ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ২৯১ জনের মৃত্যুর কারণ হওয়ায় কভিড-১১ কে মহামারি-ই ঘোষণা করল সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) পরিচালক মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস যেভাবে, যেহারে ছড়াচ্ছে, তাতে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। আমরা প্রতিদিনই দেশগুলোকে বলে আসছি, ব্যবস্থা নিন জরুরিভিত্তিতে, দ্রুত।”
৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, যা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১২০ দেশ ও অঞ্চলে।
তবে বিশ্বব্যাপি এ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ যে ৩ জন রোগী আক্রান্ত হন তাদের দুজনই এখন সুস্থ হবার পথে। শুধু তাই নয়, নতুন করে আর কোনো সংক্রমণের খবরও পায়নি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গত দুই সপ্তাহে ভাইরাসটি চীনের বাইরে ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে দ্রুতগতিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার হতে থাকায় গত ৩০ জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এবার সেটা মহামারিতে রুপ নিল। বৈশ্বিক প্যানডেমিক বা মহামারি মূলত এমন পরিস্থিতিকে বর্ণনা করা হয়, যখন কোনো রোগ বা জীবাণুর সংক্রমণ একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।