বর্ষা মৌসুমের শেষে রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলে মনে করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. সাঈদ খোকন।
সোমবার ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনের সময় মেয়র বলেন, “এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। এমনকি আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতিও নয়।”
গত দুই-তিন বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি হিসাবে জানুয়ারি থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অগাস্ট মাসে ১ হাজার ৩২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবর। এর আগের দুই মাসে এই সংখ্যা ছিল জুলাইয়ে ৮৮৫ জন এবং জুনে ২৭৫ জন।
ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে রাজধানীবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র খোকন। তিনি বলেন, “গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিল, এবার নেই।”
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুগুনিয়া প্রতিরোধে বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলের টব, এসির আউটারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন মেয়র।
তিনি বলেন, “কোথাও পাঁচ দিনের বেশি পানি জমতে দেবেন না। পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে থাকলে এডিস মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার একটু সচেতনতা আপনার প্রিয়জনের জীবনকে রক্ষা করতে পারবে।”
মশার বংশবৃদ্ধি রোতে ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে ‘বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ শুরু হয়েছে বলে জানান সাঈদ খোকন।
এই কর্মসূচির আওতায় ডিএসসিসির প্রতিনিধিরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পেলে তা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করবে।
উত্তর সিটি করপোরেশনেও ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান দক্ষিণের মেয়র।
“কারণ মশার কোনো স্থান নেই। এক জায়গার মশা আরেক জায়গায় চলে যায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই একটি ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেব। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।”