মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।
কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে।
নিম্নমানের ক্যাপসুলের জন্য সরবরাহকারী ওষুধ কোম্পানিগুলোর একটিকে দায়ী করে তিনি বলেন, “ওই কোম্পানির সরবরাহ করা ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে আছে, আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[sc name=”ad1″]
শনিবার সারাদেশে শিশুদের যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। কর্মসূচির দুদিন আগে বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এক বিজ্ঞপ্তিতে তা স্থগিতের কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনিবার্য কারণ বশত আগামী ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের পরিবর্তিত তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।”
এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে।
এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুই বার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।
এই কর্মসূাচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা।