Site icon Health News

মান নিয়ে সংশয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন বন্ধ

আজ শনিবার সারাদেশে শিশুদের যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল, তা হচ্ছে না।

কর্মসূচির দুদিন আগে বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এক বিজ্ঞপ্তিতে তা স্থগিতের কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনিবার্য কারণ বশত আগামী ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের পরিবর্তিত তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।”

কী কারণে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা না হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যাপসুলের মানে সমস্যা দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ক্যাপসুল আনার পর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, একটি জেলার সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ক্যাপসুলে ছত্রাক দেখতে পেয়েছেন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, কয়েকটি জায়গায় ক্যাপসুল জোড়া লাগানো দেখা গেছে। এ জন্য কর্মকর্তারা আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই ক্যাপসুল খাওয়ানো আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে বিজ্ঞানীরাও রয়েছেন। ক্যাপসুল পরীক্ষা করার পর বলা যাবে এর মান খারাপ ছিল কি না।

ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে।

এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুই বার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

আগের ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।

এই কর্মসূাচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা।

Exit mobile version