মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আগের কর্মসূচি বাতিলের পর আগামী শনিবার সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর দুবার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করে সরকার।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি তা খাওয়ানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিতের কথা জানায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।
পরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় একটি কোম্পানির সরবরাহ করা লাল রঙের ক্যাপসুলে সমস্যা ছিল।
আগে বাতিল হওয়া ওষুধের মেয়াদ এ বছরের জুন পর্যন্ত হলেও স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা ঝুঁকি নিয়ে ওই ক্যাপসুলগুলো আর খাওয়াতে চান না।
ওই ঘটনার তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা পরে জানানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, তদন্তে কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, গত ক্যাম্পেইনে লাল রঙের ক্যাপসুলগুলো ভারতের একটি কোম্পানির সরবরাহ করা ছিল। আর নীল রঙের ক্যাপসুলগুলো বাংলাদেশের একটি কোম্পানি দিয়েছিল।
এ ক্যাপসুল কেনার কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানিকে ক্যাপসুল সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যায় ‘অ্যাজটেক’ নামে ভারতীয় কোম্পানিটি।
আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে ক্যাপসুল সরবরাহের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিলে এরপর তারা লাল রঙের এই ক্যাপসুল সরবরাহ করে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুই বার সম্পূরক খাদ্য
হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূাচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে
১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
প্রাণরক্ষাকারী ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং
রক্তশূন্যতাও হতে পারে। এছাড়া শিশুদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় ভিটামিন ‘এ’।