একদিকে সর্বোচ্চ ৫৪৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে এর আগে এত রোগি শনাক্ত হয়নি।
করোনা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত মার্চ মাসের ১৯ বা ২০ তারিখেও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ জন করে। কিন্তু ঠিক এক মাস পর গত ১৮ এপ্রিল থেকে তা কখনোই ৩শ জনের নিচে নামেনি। বরং কখনো ৪শ এমনকি ৫শ অতিক্রম করছে। মার্চের ২৮ তারিখে দেশে কোনো রোগিই শনাক্ত না হওয়ায় মোট আক্রান্ত যেখানে ৪৮ জনে স্থির ছিল, সেখানে ঠিক এক মাস পর দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৬২ জনে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৫ জনে।
মঙ্গলবার,২৮ এপ্রিল, দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে জানানো হয়, নতুন যে ৩ জন মারা গেছেন, তাদের সবাই ঢাকার এবং সবাই ষাটোর্ধ্ব। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৩২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন ৩ হাজার ৮১২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৭৩৩ জনকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গতদিনের তুলনায় পরীক্ষার হার বেড়েছে ১৩.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১১১ জনকে। আর আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৭৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন মোট ১ হাজার ২৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৯২ জনকে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮১ হাজার ৭৯৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩১ জন। অন্যদিকে বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৬ হাজার ৮৪০ জন।