Site icon Health News

মৃত্যু হাজার পার হলো

আগেরদিন ৪৫ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭ এ নেমেছে। এরফলে টানা তিনদিন পর ৪০ ঘরে থেকেও নামলো মৃত্যুর পরিসংখ্যান। তবে আগের ৩ হাজার ১৭১ জনের শণাক্তের রেকর্ড ভেঙ্গেছে একদিনেই। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় এই নীরব ঘাতক দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ১৯০ জনের দেহে ঢুকে পড়েছে।

বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ১২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ হাজার ৮৯৯ জন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৯৪টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৬৫টি। এখন পর্যন্ত চার লাখ ৪১ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ।

নাসিমা সুলতানা জানান, অঞ্চল বিবেচনায় এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন এবং সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে রয়েছেন।

মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণ বলছে, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং চার জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ১২ জন। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া এক হাজার ১২ জনের মধ্যে ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ শতাংশ নারী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫৩৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন আট হাজার ২৪৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৮৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন চার হাজার ৭২৩ জন।

এদিকে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। 

Exit mobile version