Site icon Health News

মৃত্যু ৪শ ছাড়ালো: আক্রান্ত সাড়ে ২৮ হাজার

দেশে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনাভাইরাস। এবার ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর খবর এলো। একইসাথে মৃতের পরিসংখ্যানে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যবধান বাড়লো আরো।মারা যাওয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জন ৫০ থেকে ৬০ বছরের বয়স্ক ছিলেন। এদিন ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যেও মৃতের ঘটনা রয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন ৩৯৫ জন।

সব মিলিয়ে গত একদিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ৩ জন। মোট মারা গেছেন ৪০৮ জন। সবশেষ ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৩ জন।  এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫১১ জন  এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে টানা দুদিন সর্বোচ্চ ২১ জন করে মারা গিয়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১ জন ও সিলেট বিভাগের ৩ জন।

মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ১০ হাজার ১৭৪টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে আগের দিনের সহ ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ২৬২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি।

দেশে এখন ৪৭টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমণ ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা আসে।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা অনলাইন ব্রিফিংয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১ লাখ ১৯ হাজার ৪১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪শ জন। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২০ লাখ ৪২ হাজার মানুষ।

Exit mobile version