Site icon Health News

মৃত্যু ৫শ ও আক্রান্ত ৩৫ হাজার ছাড়ালো

এক বিবর্ণ ও বিষন্ন ঈদেও সংক্রমণের আঘাত থেকে সরে আসেনি করোনাভাইরাস। বরং প্রবল প্রতাপেই টিকিয়ে রেখেছে তার বিস্তার। গত ১৮ মে থেকে মাঝে একদিন ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যান ২০ এর নিচে নামেনি। খবরের সেই ধারাবাহিকতা টিকে রইলো ঈদের দুপুরেও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণহানি ঘটেছে ২১ জনের। একইসাথে ২০ মে থেকে আক্রান্তের সংখ্যা নামেনি দেড় হাজারের নিচেও। বরং এবার একদিনে তা গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ২ হাজারের ঘরে।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান মেলার পর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৫শ’র ঘরও।

ঈদের দিন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, এ দুর্যোগ ঠেকাতে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই।তিনি জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৫ জন। এক দিনে করোনার সংক্রমণে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। মারা গেছেন আরও ২১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় সংক্রমিত হলেন মোট ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। মারা গেছেন ৫০১ জন।

অধিদপ্তর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন ও রংপুর বিভাগের ১ জন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ বলছে,  ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন; ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩ জন; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন; ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪ জন; ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। এ নিয়ে সর্বমোট ৭ হাজার ৩৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৪৫১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়।

৫০ এর উপরে মৃত্যু বেশি

গত ৬ দিনে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। এরমধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বয়সের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ৬ দিনে এই বয়সের মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫০ জন। এরমধ্যে রয়েছে গত ২০ মে ৫ জন, ২১ মে ১০ জন, ২২ মে ৫ জন, ২৩ মে ৮ জন, ২৪ মে ১৩ জন এবং ২৫ মে ৯ জন।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, সোমবার সন্ধ্যা দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫ লাখ ৩০ হাজার । এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি।  আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৩ লাখ ১৮ হাজার মানুষ।

Exit mobile version