Site icon Health News

ম্যাক্স হাসপাতালের দুই চিকিৎসক চাকরিচ্যুত

চট্টগ্রামে শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় দুই চিকিৎসককে চাকরিচ্যুত করেছে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতাল।

হাসপাতালটির পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, ওই দিন শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেবকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাফিদা খান রাইফার গলায় ব্যথা হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে মেহেদীবাগের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে।

সাংবাদিকরা এই মৃত্যুর জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলাকে কারণ দেখিয়ে তাদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন ওই রাতেই।

পরে ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিও এ ঘটনার তদন্ত করে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

প্রতিবেদনে এই দুই চিকিৎসকের পাশাপাশি শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায়কেও চিকিৎসায় ‘অবহেলার দায়ে’ অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “রাইফা যখন তীব্র খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় তখন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অনভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অভাবের প্রমাণ মেলে এবং ওই সময়ে থাকা সংশ্লিষ্ট নার্সদের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও এ রকম জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো দক্ষতা বা জ্ঞান তাদের ছিল না।

“শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী শিশুটিকে যথেষ্ট সময় ও মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা করে দেখেননি। ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব শিশুটির রোগ জটিলতার বিপদকালীন সময়ে আন্তরিকতার সাথে সেবা দেননি বলে শিশুর পিতা-মাতা যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, যাহা এই তিন চিকিৎসকের বেলায় সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।”

তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রাইফাকে ম্যাক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা থেকে শুরু করে শেষ চিকিৎসা পর্যন্ত তার অভিভাবকের ভোগান্তি চরমে ছিল।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিধান রায়ের বিষয়ে লিয়াকত আলী বলেন, “তিনি আমাদের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নন। রোগীর স্বজনরা না ডাকলে আমরা তাকে কল করব না।”

Exit mobile version