এক ছাদের নিচে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থসেবা দিতে নির্মাণকাজের ভিত্তি স্থাপন হল ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতালের, যা হবে বাংলাদেশে প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই হাসপাতালের নির্মাণকাজের ভিত্তি স্থাপন করেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সলেন্সের আওতায় আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্পেরও উদ্বোধনও করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ১৩ তলা এই হাসপাতাল উদ্বোধন হবে।
নতুন হাসপাতালটি সম্পর্কে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে কম খরচে সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবার মডেল হবে এক হাজার শয্যার এই হাসপাতাল।
“এটা হবে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের মতো, যেখানে এক ছাদের নিচে মিলবে সব সেবা।”
উদাহরণ দিয়ে হাসপাতাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক জুলফিকার রহমান বলেন, মা ও শিশুর সব ধরনের সেবা এখানে একই জায়গায় পাওয়া যাবে।
“এখন আমাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হয়। কিন্তু এখানে সব ধরনের রোগের জন্য আলাদা আলাদা কেন্দ্র থাকবে, ফলে একটি জায়গাতেই সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।”
তিনি জানান, নতুন এই হাসপাতালে সেন্টার ফর স্পেশালাইজড অটিজম অ্যান্ড ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, ইমারজেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি সেন্টার, কার্ডিও অ্যান্ড সেরিব্রো-ভাসক্যুলার সেন্টার, কিডনি সেন্টার এবং রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টারসহ আরো কয়েকটি সেন্টার থাকবে।
অধ্যাপক জুলফিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এটিকে ‘গ্রিন হসপিটাল’ হিসেবে গড়ে তুলতে চারপাশ ঘিরে বাগান করা হবে। হাসপাতালের ছাদে বাগানাসহ থাকবে পরিবেশীবান্ধব নানা সুবিধা।
এই প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, হাসপাতালের নকশাও তাদের করা।
বিএসএমএমইউর উত্তর পাশে ৩ দশমিক ৪ একর জায়গায় এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নির্মিত হবে এই হাসপাতাল। এই নির্মাণব্যয়ের মধ্যে কোরিয়া দিচ্ছে এক হাজার ৪৭ কোটি টাকা দিচ্ছে ঋণ হিসেবে।