চট্টগ্রামে শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুতে ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তদন্তেও তার প্রমাণ মিলেছে।
দৈনিক সমকালের সাংবাদিক রুবেল খানের আড়াই মাস বয়সী মেয়ের মৃত্যু অবেহলায় হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, তারা বেসরকারি হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স, মালিক ও কর্মকর্তাসহ সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, “সেদিন কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সের দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাইফার গলায় ব্যথা হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে মেহেদীবাগের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
সাংবাদিকরা এই মৃত্যুর জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলাকে কারণ দেখিয়ে তাদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন ওই রাতেই।
এ নিয়ে সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও পালন করেন।
এর মধ্যে রাইফার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, তারা তাদের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে পাঠিয়েছেন। এর অনুলিপি বিএমএ সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং চকবাজার থানার ওসিকেও দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ।
রাইফার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা. কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ম্যাক্স হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় ১১টি ত্রুটি চিহ্নিত করেন। সেগুলোর কথা তদন্ত কমিটিও উল্লেখ করেছে।