ক্যান্সারের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ভ্রাম্যমাণ রোগ নির্ণয় কেন্দ্র চালু হয়েছে রাজশাহীতে।
একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর রোগ নির্ণয়ের কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। মেয়েদের স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার হয়েছে কি না, তা জানা যাবে এখানে।
রাজশাহীর রোটারি ক্লাব অব পদ্মা এই অ্যাম্বুলেন্সটি রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালকে দিয়েছে। রোটারি গ্লোবাল গ্রান্ট প্রকল্পের আওতায় গাড়ির ভেতরের ম্যামোগ্রাম ও আলট্রাসনোগ্রামসহ নানা যন্ত্রপাতিও দিয়েছে রোটারি ক্লাব।
গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্সটির চাবি হস্তান্তর করেন রোটারি ক্লাবের কর্মকর্তারা।
চাবিটি হস্তানন্তর করেন রোটারি ক্লাবের জেলা গর্ভনর আবুল ফজল আলমগীর, সাবেক গর্ভনর এফএইচ আরিফ ও কেএম জয়নুল আবেদিন। রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালের ট্র্যাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ডা.প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস, অধ্যাপক ডা. শামসুল আলম ও প্রকৌশলী আবুল বাসার তা গ্রহণ করেন।
প্যাট্রিক বিশ্বাস বলেন, “বর্তমানে গ্রামের নারীরা স্তন ও জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি মূলত গ্রামে ক্যানসার রোগ নির্ণয়ের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গ্রাম থেকে এই গাড়িতে করে জরুরিভাবে রোগীদের ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে।”
তিনি জানান, গোটা রাজশাহীতে তারা ২০টি উপকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। ভ্রাম্যমাণ রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটি সপ্তাহের একটা নির্দিষ্ট দিন এক-একটি উপকেন্দ্রে যাবে। সেখানে নারীদের স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার হয়েছে কি না তা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে জানানো হবে।