Site icon Health News

রাজশাহীতে ঘরে ঘরে জ্বর, করণীয় কী?

আবহাওয়ার পরিবর্তনে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই বেড়েছে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকাপ। বেড়েছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা।

এ অবস্থায় সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান খান হেলথ নিউজকে বলেন, “ভাইরাসজনিত কারণে মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব এটি।”

এই ভাইরাস জ্বরে মানুষের শীত শীত ভাব, শরীরে ব্যথা, খাওয়ার অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে অবিরত পানি ঝরার লক্ষণ দেখা দেয়।

ডা. মাহবুব বলেন, “ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও জরুরি নয়। এই জ্বরে প্রথম অবস্থায় প্যারাসিটামল খেলে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।”

এই সময়ে শরীরের ঘামের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঘাম হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ছোট শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের বাইরের খাবার এবং পানি এবং গরম নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।

ভাইরাস জ্বর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাইরে যেতে না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ডা. মাহবুব বলেন, এই সময় বেশি বেশি ফলমূল, শাকসবজি, বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি খাওয়া উত্তম। অবস্থা গুরুতর হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রামেকের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. খলিলুর রহমান হেলথ নিউজকে বলেন, ভাইরাস জ্বর সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্যেই হয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকে না, তাদের ক্ষেত্রে বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।

তিনি বলেন, “ভয় পাওয়া বা দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই। প্রথম অবস্থায় সাধারণ প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে হবে। সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে রোগীকে।”

শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়ে ডা. খলিল বলেন, “তারা এই জ্বরে আক্রান্ত হলে অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কোনো মতেই যেন তারা অস্বাস্থ্যকর খাবার না খায়, সে বিষয়ে দেখভাল করতে হবে।

“আক্রান্ত বাচ্চা এবং বয়স্ক রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নিয়ে  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।”

Exit mobile version