রাজশাহীতে হার্ট ফাউন্ডেশনের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ তলা ভিতের ৫ তলা ভবনের ভিত্তিস্থাপন হয়েছে।
রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যলয় ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নগরীর লক্ষ্মীপুরে হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গত মঙ্গলবার এর ভিত্তিস্থাপন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
হার্ট ফাউন্ডেশনের এই ভবনটি নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের ৩০ শতাংশ মানুষ বিনা মূল্যে এবং স্বল্পমূল্যে হার্টের চিকিৎসা পাবে।
অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, “বর্তমান সরকারের প্রতিটি অগ্রসী উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সকল উন্নয়নের মাঝে সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন দেশের শহর থেকে গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, শুধু হার্ট নয়, কিডনি ও ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য রাজশাহীতে বড় পরিসরে চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। অল্প দিনের মধ্যেই তার বাস্তবায়ন করা হবে।
“যেভাবে হার্ট ফাউন্ডেশনের সকল সহায়তা উত্তরাঞ্চলের মানুষ পেয়েছে। ক্যান্সার ও কিনডী ফাউন্ডেশনের জন্য তেমনটাই পাবে।’
মেনন বলেন, “উত্তরাঞ্চলের মানুষের এখন পাঁচ-ছয় হাজার টাকা খরচ করে ঢাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে হবে না। রাজশাহীতে হার্টের চিকিৎসা সেবার সুফল পাবে।”
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের, সমাজসেবা কার্যালয়ের বিভাগীয় পরিচালক জুলফিকার হায়দার, রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মু. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন রওশন।
হার্ট ফাউন্ডেশনের নিজস্ব জমিতে প্রথম পর্যায়ে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্পটি গত ৭ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় ২০২১ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হাসপাতালটিতে ১টি ক্যাথল্যাব ও ১টি কার্ডিয়াক অপারেশন থিয়েটার স্থাপনা করা হবে। এছাড়া থাকবে ৮টি আইসিইউ বেড, ৬টি এইচডিইউ বেড, ১টি সিসিইউ বেড, ৬টি পিসিসিইউ বেড।
এছাড়া ৫৩টি জেনারেল বেড হবে, তার মাঝে ৩২টি পুরুষের জন্য এবং ২১টি নারী ও শিশুদের জন্য। পাশাপাশি ১৭টি কেবিন থাকবে।