কোরবানিকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটি হাট এখন সরগরম ক্রেতা ও বিক্রেতার ভিড়ে; কিন্তু এর মধ্যে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে চিকিৎসায় ব্যবহৃত সূচ ও ব্লেড।
এই হাটের পাশেই রয়েছে নগরীর সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়। এই ভাগাড়েই গোটা শহরের সব ময়লা এনে ফেলা হয়। এই ময়লার স্তূপে থাকা হাসপাতাল বর্জ্যের সূচ ও ব্লেড বৃষ্টির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে হাটে।
কাদার মধ্যে ঢুকে থাকা এসব সূচ ও ব্লেডে পা পড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেই জখম হচ্ছেন।
গরু ব্যবসায়ী বিপ্লব হেলথ নিউজকে জানান, কয়েকদিন আগে তার সামনেই হঠাৎ করে তার সহযোগী ব্যবসায়ীর পায়ে সূচ ফুটেছিল। ব্যথায় তার জ্বরও চলে আসে।
আরেক ব্যবসায়ী উজ্জল দেওয়ান হেলথ নিউজকে বলেন, “কাদায় এই সুই গোটা হাটে ছড়িয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে অনেক ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের পায়ে ফুটছে। পশুগুলোর পায়েও ফুটছে। আতঙ্কে আছি, পশুগুলো যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জিত কুমার সাহা হেলথ নিউজকে বলেন, পুরোনো সূচ ও ব্লেড দ্বারা মানুষ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
“এই সমস্ত জিনিস দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলে তা অবহেলায় ইনফেকশন হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, হাসপাতালের ব্যবহৃত সূচ-ব্লেড মাটিতে পুঁতে ফেলা কিংবা ধ্বংস করাই নিয়ম। সে জন্য সিটি করপোরেশনকে সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এই ময়লার ভাগাড় নিয়ে রাসিকের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।
“যে সকল ময়লা রয়েছে, তা প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা থেকে সরকারিভাবে এবং এনজিও সংস্থার সাথে আলোচনা করা হয়েছে। গোটা ভাগার হয়ত এখানে থাকবে না। এক বছরের মধ্যেই আমরা পরিকল্পনা অনুয়ায়ী বাস্তবায়ন করতে পারব।”