Site icon Health News

রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা মেডিকেলে নতুন ইউনিটের পরিকল্পনা

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবার বড় কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

কাগজে-কলমে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে গড়ে রোগী থাকছে ১ হাজারের বেশি। রোগীর ভিড়ে স্থান মিলছে না বারান্দাতেও।

ফলে চাপ সামলাতে চার একর জমিতে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলাদা ইউনিট করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হচ্ছে।

অবকাঠামো নিয়ে অনেক দিন ধরেই সমস্যায় ভুগছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কয়েকটি ভবনকে ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ করেও রোগীর ধারণ ক্ষমতা যথেষ্ট বাড়ানো যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে কোনো শয্যা ফাঁকা নেই। বারান্দায় রোগীদের দীর্ঘ সারির মধ্য দিয়ে পা ফেলে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। তীব্র গরম কিংবা ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই দুর্ভোগ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এখানকার রোগীরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ হেলথ নিউজকে বলেন, “৫০০ বেড কাগজে- কলমে থাকলেও সেই পুরনো অবকাঠামো ও লোকবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। অনেক সময় রোগীর জায়গা দিতেই হিমশিম খেতে হয়।”

তিনি বলেন, হাসপাতালের কাছেই সোনাডাঙ্গা-বয়রা সড়কে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০ একর জমি রয়েছে। সেখানে নার্সিং কলেজ, আইএইচটি ভবন ও কয়েকটি আবাসন স্থাপনা রয়েছে।

একই বাউন্ডারিতে চার একর জমিতে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ করে কয়েকটি স্বাস্থ্য বিভাগ চালু করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশতাক হাসান সম্প্রতি সরেজমিনে আলাদা ইউনিট করার ওই স্থান পরিদর্শন করেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আহাদ হেলথ নিউজকে বলেন, হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার বিষয়টি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।

“খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওই জমির মধ্যে চার একর নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই চেষ্টা করছে। কিন্তু আর্থিক সংকটে জমি নেওয়া সম্ভব হয়নি।

“বয়রা এলাকায় মেডিকেল কলেজ, চিকিৎসক ও ছাত্রদের আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ সব মিলিয়ে সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। হাসপাতালের এত কাছাকাছি জমি আর পাওয়া যাবে না। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সম্মিলিতভাবে এখানে হাসপাতালের আলাদা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন হেলথ নিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিকে এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরণের দাবি উঠেছে। একই সাথে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

“কিন্তু হাসপাতালের ভবনগুলোকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের আর সুযোগ নেই। এ কারণে হাসপাতালের কাছাকাছি আলাদা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Exit mobile version