Site icon Health News

ভাজা-পোড়া বুঝে খান

রোজায় ইফতারিতে থাকে ভাজা-পোড়া খাবারের আধিক্য; এটা মুখরোচক, তাতে সন্দেহ নেই; কিন্তু কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?

প্রতিদিন ইফতারির টেবিলে পিঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, চপ ইত্যাদির পাশাপাশি থাকে ফ্রায়েড চিকেন, গরু, খাসির মাংসের নানা পদ।

কী ক্ষতি ভাজাপোড়া খাবারে?

বাজার ঘুরে দেখা যায় এসব খাবার তৈরির প্রক্রিয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। খোলা পরিবেশে একই কড়াইয়ে, একই তেলে বার বার ভাজা হয় এসব খাবার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার বার বাসি তেলে এসব খাবার ভাজার কারণে হতে পারে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। পুরনো তেল বারবার গরম করলে ক্ষতিকর পলিনিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়, যার মধ্যে থাকে বেনজোপাইরিন। এটা ক্যান্সার সৃষ্টি করে।

বারডেম হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ হেলথ নিউজকে বলেন, “সারা দিন রোজা রাখার পর পুষ্টিকর খাবার বাদ দিয়ে অনেকে বেশি পরিমাণে ভাজাপোড়া খাবার খান। এ কারণে তাদের হাইপার-অ্যাসিডিটি হয়, অনেকের হয় পেটের সমস্যা।”

তাহলে কী ভাজাপোড়া খাবার বাদ?

শামসুন্নাহার নাহিদ জানান, ভাজাপোড়া খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে ঘরে ভাজা খাবার।

তবে এসব খাবার প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে দুদিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া যাদের অ্যাসিডিটি বা আলসার আছে তাদের জন্য এসব খাবার একদম নিষেধ।

তিনি বলেন, “শর্করা, আমিষ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। চিড়া, কলা দই, মুড়ি, ফল এসব খাওয়া স্বাস্থ্যকর। খেতে পারেন নরম খিচুড়ি।”

এছাড়া অনেকে বাড়িতে ডুবো তেলে কোন কিছু ভাজার পর বাড়িতি তেলটা রেখে দেন পরের দিন রান্নার জন্য। এই তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান নাহিদ।

নাহিদের পরামর্শ; ডুবো তেলে কিছু ভাজার পর খাবারটা টিস্যু পেপারের ওপর রাখতে হবে। এতে খাবারের গায়ে লেগে থাকা ট্রান্স ফ্যাট অনেকটা চলে যাবে।

Exit mobile version