করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে এক মাস ধরে চলা অবরুদ্ধ অবস্থা এখন কিছুটা শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সীমিত আকারে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া যায়। তবে তা সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে করতে হবে।
করোনাভাইরাসের রোগী বেড়ে যাওয়ার মধ্যে বাংলাদেশে অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা তাদের কনভেনশন সেন্টারকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে।
অবরুদ্ধ অবস্থা শিথিলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরাও সামনেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব।”
ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ রোগের কোনো ওষুধ কিংবা টিকা না থাকায় সংক্রমণ এড়ানোই একমাত্র পথ। সে কারণে জনসমাগম এড়াতে প্রায় সব দেশই লকডাউন ঘোষণা করে। তবে সংক্রমণের হার কমে আসার পর বিভিন্ন দেশ এখন বিধি-নিষেধ তুলে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার। এক মাস পর গত রোববার থেকে কিছু তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে, দোকান খোলার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
তবে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখনই বেশি বাড়ছে। বুধবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, একদিনে এত রোগী আগে শনাক্ত হয়নি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দেশে এখন ২০ হাজারের মতো আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে।
বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার, ডিএনসিসি মার্কেটে ১ হাজার ৩০০ এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১ হাজার ২০০ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব জায়গায়ও রোগী ভর্তি করা যাবে।
২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন বেড প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও করা যাবে, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।