Site icon Health News

‘লাভ না দেখে মানুষকে দেখুন’

ব্যবসার লাভ না দেখে মানুষকে সেবার দেওয়ার দিকটির উপর গুরুত্ব দিতে হাসপাতাল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সিলেট এক অনুষ্ঠানে।

সিলেটে প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতাল শুধু ব্যবসার জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও জড়িত। তাই সেই জায়গা থেকে সবাইকে মানুষের পাশে এগিয়ে আশা উচিৎ।

সম্প্রতি সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ-অনুযোগ খতিয়ে দেখতে অ্যাসোসিয়েশনে অভিযোগ কেন্দ্র খোলার ঘোষণাও দেন।

ডা. নাসিম জানান, সিলেটে ৬৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ৫৮টি হাসপাতাল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকের বেশি অ্যাসোসিয়েশনের অধিভুক্ত।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান যাচাই করে অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় আনার পাশাপাশি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান বন্ধেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন ডা, নাসিম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য পরিপূর্ণ ১৮০০টি হাসপাতাল আছে। এর ৭৬ শতাংশ বেসরকারি ও বাকিটা সরকারি হাসপাতাল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১০ হাজার মানুষের জন্য আছে ৩ জন চিকিৎসক ও একজন নার্স। যেখানে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ হল এক হাজার লোকের জন্য এক জন চিকিৎসক ও ৩ জন নার্স।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিলেটেও জনসংখ্যার চেয়ে হাসপাতাল অপ্রতুল। এজন্য হাসপাতালগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার অস্ত্রোপচার হলেও ভুল চিকিৎসার দু-একটি অভিযোগ থেকে যাওয়ার কথা স্বীকার করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বক্তারা বলেন, এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে গত ৩৪ বছরে একই চার্জ ছিল। জীবন মানের তুলনায় এখন কেবল হাজার টাকা চার্জ বেড়েছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্যের তফাতের বিষয়ে এসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, হাসপাতাল ও ডায়গানস্টিক সেন্টারে গুণগত মান ভেদে মূল্যের ভেদাভেদ আছে। যেহেতু সরকার এটি নির্ধারণ করে দেয়নি। তারপরও এসোসিয়েশন চার্জ তালিকা করার জন্য উদ্যোগ নেবে।

তবে চিকিৎসক দ্বারা রোগীদের প্রেসক্রিপশন করা ও কমিশন ব্যবসার বিষয়ে তারা কিছু করতে পারবেন না বলে দাবি করেন হাসপাতাল মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আইডিয়াল হসপিটালের পরিচালক আজিজুর রহমান রুম্মান, সহ সভাপতি ও সিটি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. আবু ইউসুফ ভুইয়া, সহ সভাপতি ও ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মাহমুদ, ইবনেসিনা হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল কাদির, এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও ক্রিসেন্ট মেডিকেল সার্ভিসেস এর স্বত্বাধিকারী জাকির আহমদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

Exit mobile version