Site icon Health News

শিশুদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখা ‘নির্যাতনের শামিল’

এখনকার যুগে ইন্টারনেট ছাড়া আমরা ভাবতেই পারি না। অথচ যখনই শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি আসে, তখনই আমাদের মধ্যে দেখা দেয় মতভেদ।

কোনো কোনো বাবা-মা মনে করেন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের মতো ডিজিটাল ডিভাইসগুলো বেশি বেশি পরিমাণে শিশুদেরকে ব্যবহার করতে দিলে তাদের সার্বিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আরেক দল বাবা-মা আবার এসব ডিভাইসে পাওয়া শিক্ষণমূলক ভিডিও বা গেমসের ইতিবাচক প্রভাবের কথা বলেন।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও রয়েছে মতভেদ।

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের অ্যাসটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এলিস ক্যাশমোর অবশ্য দ্বিতীয় দলের পক্ষে। তার প্রকাশিতব্য ‘স্ক্রিন সোসাইটি’ বইয়ে তিনি ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিকটিকে চ্যালেঞ্জ করে বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ‘শিশু নির্যাতনের শামিল’ বলে সতর্ক করেছেন।

টেসিড ইউনিভার্সটি ও ইউনিভিার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যাশমোর ২ হাজার জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর উপর তথ্য সংগ্রহ করেন।

প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে তিনি মনে করেন, অনলাইনে না থাকলে শিশুরা যেসব কাজ করত ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনগুলোও সেসব জিনিসই তাদের সরবরাহ করে। আর তাই এটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে শিশুদের সামাজিক উন্নতি ব্যাহত হতে পারে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে তিনি বলেন, “চিন্তা করুন তো যে পিতামাতা তাদের সন্তানদের পড়াশুনা, টিভি দেখা, অন্য শিশুদের সঙ্গে গল্প করা বা শিক্ষণমূলক খেলাধুলা, ছবি আঁকা, নাচ ইত্যাদি বন্ধ করে দিলে কেমন হবে। ঠিক এসবই কাজই শিশুরা স্ক্রিনেও করে থাকে।

“অনলাইনে শিশুদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত রাখলে পিতামাতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনা যাবে। এগুলোতে শিশুদের ভালোভাবে বেড়ে ওঠায় বাধা দেওয়া হবে।”

ডিজিটাল ডিভাইসগুরো আসক্তির সৃষ্টি করে বলে মা-বাবার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে ক্যাশমোর বলেন, “আমরা অনেক বিষয় ও কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারি। তবে এটা আসক্তি নয়। আসক্তির কারণে নয় বরং পরিতৃপ্তি পাই বলে এসব ডিভাইস আমরা ব্যবহার করি।”

সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

Exit mobile version