অগ্রহায়নে শীতের দেখা না মিললেও পৌষের শুরু থেকে সিলেট অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। আর এতে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগী।
গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়ার দাপটে কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে সিলেট অঞ্চল, সন্ধ্যা পড়তেই নামছে কুয়াশা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও কয়েকদিন এই অবস্থা চলতে পারে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষদের কষ্ট বেড়েছে; বাড়ছে অসুখ-বিসুখও।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরতরা জানায়, গত দুই-তিনদিন ধরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।
হাসপাতালগুলোতে দেখা যায়, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি জাতীয় রোগে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি।
গত ৩ দিনে সিলেট সদর ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছে সহস্রাধিক রোগী।
ওসমানী হাসপাতালে আসা আফরোজা বেগম হেলথ নিউজকে বলেন, “ঠাণ্ডা লেগে বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে। ডাক্তার বলছে সময় লাগবে। তাই হাসপাতালে পড়ে আছি।”
আরেক শিশুর অভিভাবক সালমা জানান, তার ছেলের বয়স ৬ মাস। শীতের কারণে প্রথমে সর্দি, পরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে।
সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীকে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিলেট রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা, আরমান আহমদ শিপলু হেলথ নিউজকে বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কাশি, সর্দিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, “আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।”
শীতজনিত অসুস্থতার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত বছর থেকে এ বছর শীতের মাত্রা একটু বেশি। গড় তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।