Site icon Health News

শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

শীত নামতে না নামতেই রাজশাহীতে বাড়ছে শিশুদের নিউমোনিয়া। এই অবস্থায় অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শীতের সময় বরাবরই শিশুদের সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অভিভাবকদের একটু অসচেতনতায় পরিস্থিতি আরও জটিলও হতে পারে। সময়মতো শিশুর চিকিৎসা না করাতে পারলে অনেক শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে যায়।

শীতের আগমনে আবহাওয়া একটু শীতল হওয়ার মধ্যে শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ১০- ১২ দিন ধরেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খবর নিয়েও একই রকম চিত্র পাওয়া যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে যে কোনো বয়সে মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তা মারাত্মক হতে পারে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ছানাউল হক মিঞা হেরথ নিউজকে বলেন, “শীতের আগেই শিশুর অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। এ সময় অভিভাবকদের বলা হয় শিশুর ‘প্রাথমিক ডাক্তার’। চিকিৎসার প্রথম অবস্থায় তাদের কাছ থেকেই আমরা বাচ্চাদের রোগের সম্পর্কে প্রায় অর্ধেক তথ্য নিই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা রোগ নির্নয় করি। এ সময় অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা শিশুদের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।”

রামেকের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, শীতে শিশুদের শ্বাসকষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হল নিউমোনিয়া। আর নিউমোনিয়া হতে পারে বেশ কয়েকটি কারণে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে নিউমোনিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই এ সময় বাচ্চাকে ঠাণ্ডায় রাখা যাবে না। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সব সময় মায়ের বুকের দুধ খেতে দিতে হবে। শিশুদের বেশি করে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ভোর বেলা বা কুয়াশার সময় বাচ্চাকে বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না। বাসাবাড়ি ধুলোবালি মুক্ত রাখতে হবে। এ সময় শিশুদের হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং বাচ্চার আশেপাশে কোনোমতে ধূমপান করা যাবে না।

শিশু কোনো কারণে অসুস্থ মনে হলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. ছানাউল হক।

Exit mobile version