Site icon Health News

২৩ রোগ গোপন রাখলে শাস্তির বিধান হচ্ছে

কিছু কিছু রোগ রয়েছে, যা একজন থেকে ছড়ায় আরেকজনে; এই ধরনের রোগের কথা গোপন রাখায় যদি কারও মধ্যে তা সংক্রমিত হয়, তবে তার জন্য শাস্তির বিধান রেখে আইন হচ্ছে বাংলাদেশে।

সোমবার জাতীয় সংসদে যে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল-২০১৮’ উত্থাপন করা হয়েছে, তাতে শাস্তি হিসেবে জেল, সেই সঙ্গে জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

২৩টি সংক্রামক রোগের নাম উল্লেখ করে এই আইনটি উত্থাপন হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন না, তার পক্ষে বিলটি উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

রোগগুলো হলো- ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ফ্লু, নিপাহ, অ্যানথ্রাক্স, মারস-কভ, জলাতংক, , ইবোলা, জিকা, চিকুনগুনিয়া, জাপানিস এনকেফালাইটিস, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, শ্বাসনালীর সংক্রমণ, এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ, টাইফয়েড, খাদ্যে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস।

এখন ২৩টি উল্লেখ করা হলেও সরকার পরে গেজেট দিয়ে আরও রোগের নাম এতে যুক্ত করতে পারবে, এমন সুযোগও রাখা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা ঘটাতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

সুস্থ কেউ যাতে আক্রান্ত না হন, সেজন্য কারও সংক্রামক রোগ হলে সেই তথ্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর বিষয়টি প্রস্তাবিত আইনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংক্রামক ব্যক্তি রোগ সম্পর্কে জানার পরও মিথ্য বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ দুই মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

কোনো এলাকায় সংক্রমণ দেখা দিলে তাকে ‘সংক্রমিত এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিধানও রাখা হয়েছে।

উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

সেখান থেকে ফিরলে বিলটি পাসের জন্য উঠবে। পাস হলে আইন হিসেবে তা কার্যকর হবে।

Exit mobile version