সিলেট নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ডিজিটাল সেন্টার পূর্ণাঙ্গরুপে চালু করে এখান থেকে জন্ম নিবন্ধন, গর্ভবতী মায়েদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
নগরীর বন্দরবাজারে একটি হোটেলে ইউনিসেফের সহযোগিতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান।
আরিফুল হক বলেন, জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হলেও নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের নাগরিকরা সেই আইন মানছেন না।
“একজন নাগরিকের তার জন্মস্থানের সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর এ সনদ পাওয়ার জন্য শিশুর জন্মের পর তার জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়ানো-কমানোসহ ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় না দিতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের নিদের্শনা দেন মেয়র।
কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বের সব দেশেই শিশু জন্মের পরই নিবন্ধন করা হয়। আমাদের দেশেও প্রতিটি শিশু জন্মের পর পর জন্ম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা অনেকাংশে মানা হয় না। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ সম্পাদন করতে নানা ঝক্কি ঝামেলায় পড়তে হয় সেবা গ্রহিতা-ও প্রদানকারীদের।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিদায়ক রায় চৌধুরী ও ইউনিসেফের কাজী দিল আফরুজা ইসলাম।
২৬ নং ওয়ার্ড সচিব সুলতান আহমদ ও ২নং ওয়ার্ড সচিব রাজু রায়ের গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, প্যানেল মেয়র-৩ এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, ছয়ফুল আমীন বাকের, সুহেল আহমদ রিপন, সওকত আমীন তৌহিদ, মহিলা কাউন্সিলর রেবেকা বেগম ও রেবেকা আক্তার কলী। এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজীজুর রহমান।