Site icon Health News

সুস্থ সন্তানের জন্য সতর্কতা চাই আগেই

গর্ভাবস্থায়ই শুধু নয়, বরং সন্তানের ভালো চাইলে তার অনেক আগে থেকে বাবা-মার সতর্ক থাকা দরকার বলে গবেষকরা বলছেন।

সম্প্রতি মার্ডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এমসিআরআই) এবং মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রায় ২০০টি দেশের ১৪০টি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়, যা নেচার সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন হবু বাবা বা মার কৈশোরকালীন জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ঝুঁকি গর্ভাবস্থার মাধ্যমে তার ভবিষ্যৎ সন্তানের মধ্যে চলে যায়।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক জর্জ প্যাটন বলেন, “একজন শিশুর জীবনের প্রথম এক হাজার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু জন্মের পরই শিশুর প্রতি গুরুত্ব দেওয়াটা যথেষ্ট নয়। সন্তান ধারণের আগের মাসগুলোতে বাবা-মার জীবনযাপনের ধরন প্রভাব ফেলে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানের কিশোর-কিশোরীরাই ভবিষ্যতে বাবা-মা হবে। তাই শুধু কিশোর-কিশোরীর জন্য নয় বরং ভবিষ্যৎ সন্তানদের সুস্থতার জন্যও তাদের শারীরিক, সামাজিক ও আবেগীয় উন্নয়নে জোর দিতে হবে।”

অধ্যাপক প্যাটন বলেন, গর্ভাবস্থায় একজন হবু মা অবসাদে ভুগলে তা মাতৃগর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠা এবং জন্মের পর মা শিশুর সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ও সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে চলা অবসাদ মূলত গর্ভাবস্থার আগে (কৈশোরে) ঘটা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যারই ধারাবাহিকতা।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে কৈশোর ও যৌবন উভয় সময়ই স্থূলতা বেড়েই চলেছে। মায়ের গর্ভকালীন স্থুলতা পরবর্তীতে শিশুর স্থুলতা, জ্ঞানগত অদক্ষতা ও আচরণগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

মা কৈশোরে মাদকাসক্ত থাকলে সন্তানের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। গর্ভবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাদক গ্রহণ বাদ দিলেও এ প্রভাব নাও এড়ানো যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

অধ্যাপক প্যাটন বলেন, “আমরা সবসময় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ওপর জোর দিই। তবে এখন কৈশোর ও যৌবনকালীন স্বাস্থ্যের ওপর এবং পরিবার, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র সব জায়গাতেই কিশোর উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”

সূত্র: সায়েন্স ডেইলি

Exit mobile version