Site icon Health News

স্মার্টফোনে বাড়ছে বিষণ্নতা

হাতে একটি স্মার্টফোন; আর কী চাই, গোটা বিশ্ব তো মুঠোয় এখন- এটাই এখন সবার ভাবনা। কিন্তু এই ভাবনার বিপরীতে কী লুকিয়ে, তা ভাববার সময় এসেছে এখন।  

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে একাকী ও বিষণ্ন করে তুলছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটির শতাধিক শিক্ষার্থীর উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে।

নিউরো রেগুলেশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক এরিক পেপার ও সহযোগী অধ্যাপক রিচার্ড হার্ভে।

বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের মতোই এই তরুণদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্মার্টফোন। অন্যদের সঙ্গে কথার পাশাপাশি ইমেইল কিংবা টেক্সট মেসেজে যোগাযোগও এর মাধ্যমেই। আর এটাই এক ধরনের আসক্তির মতো কাজ করে।

গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিক্ষার্থী তদের স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করে তাদের মধ্যেই বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মাত্রা বেশি।

এই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময় একইসঙ্গে অন্য মিডিয়া দেখা, খাওয়াসহ আরও অনেক কাজ করছে। একইসঙ্গে একাধিক কাজ করায় শরীর ও মনের বিশ্রামের সময় কমে যাচ্ছে, বলেছেন অধ্যাপক এরিক।

গবেষকদের মতে, স্মার্টফোনের অতিমাত্রায় ব্যবহার অন্য যে কোনো জিনিসের অপব্যবহারের মতোই। আর প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি মূলত সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মুখোমুখি বসে কথা বলার অভ্যাসটা বদলে দিচ্ছে স্মার্টফোন; যার ফল হিসেবে আসছে একাকীত্ব। মুখোমুখি কথা না বলায় অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও কিছু বোঝানোর আর উপায় থাকছে না।

তবে এরিক ও হার্ভে বলেন, ডিজিটাল আসক্তির জন্য আমরা দায়ী নই। বরং প্রযুক্তি শিল্পের মুনাফা বাড়ানোর একটা কৌশল এটা। বিভিন্ন ধরণের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তারা স্মার্টফোনে আসক্ত করে রাখছে আমাদেরকে।

এটা যে আমাদের ভয়াবহ বিপদে ফেলে দিচ্ছে, তা প্রথমে বুঝতে হবে। এরপর নোটিফিকেশন বন্ধ রেখে শুধু মাত্র ইমেইলের উত্তর দেওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

Exit mobile version