দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি চালিয়ে আসা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশে তাদের ওষুধের কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বড় ওষুধ কোম্পানিটির বাংলাদেশ শাখা (জিএসকে বাংলাদেশ) বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এই খবরে চট্টগ্রামে তাদের কারখানায় বিক্ষোভ করেছে কর্মীরা। তবে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন আশ্বাস দিয়েছে, কর্মীদের দেনা-পাওনা যথানিয়মে মেটানো হবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল বন্ধ করলেও বাংলাদেশে হরলিক্সের মতো কনজিউমার হেলথকেয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাবে বলে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্যবসায়িক ঝুঁকিতে থাকা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব করেছে কোম্পানির বোর্ড।।”
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশে বিভিন্ন ওষুধ ও টিকা উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল।
পাশাপাশি কনজ্যুউমার হেলথকেয়ার পণ্য হিসেবে বিক্রি করছে হরলিক্স, বুস্ট, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইন টুথপেস্ট ইত্যাদি।
ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট বন্ধের সব প্রক্রিয়া এ বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় জিএসকে বাংলাদেশ।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের কারখানা চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে। ১৯৭৪ সাল থেকে সেখানে টিকা উৎপাদিত হয়ে আসছে, যা ইউনিসেফের মাধ্যমে বিতরণও করা হচ্ছিল।
কারখানা বন্ধ হলেও বাংলাদেশে সেসব ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে জিএসকে।
ওষুধ কারখানা বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জিএসকে বাংলাদেশ।