Site icon Health News

১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল হবে ৮ বিভাগে

দেশে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যার আটটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় সামাজিক অর্থনৈতিক বাধা দূর করতে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে একথা জানান।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও বাংলাদেশে হেলথ রির্পোর্টাস ফোরাম এই আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা সুবিধা খুবই কম, এজন্য সুবিধা বাড়াতে হবে। বর্তমানে এনআইসিআরএইচ এ ৩০০ বেড রয়েছে, যা ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে অপ্রতুল।

“বাংলাদেশে প্রতি তিন হাজার ক্যান্সার রোগীর বিপরীতে মাত্র ১টি করে শয্যা বরাদ্দ আছে। তবে বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা উপযোগী ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

দেশে যে ৬০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু অসংক্রামক রোগে হচ্ছে, তার মধ্যে ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে এই রোগ প্রতিরোধে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত সচেতনতা তৈরিতে জোর দেন জাহিদ মালেক।

তিনি আরও বলেন, “তাছাড়া ক্যান্সার রোগী দীর্ঘদিন বেঁচে থাকায় দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হয় বলে খরচও বেশি হয়ে থাকে। এমনকি রোগ চিকিৎসায় ৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়।”

প্রাথমিক স্তরে রোগ সনাক্তের মাধ্যমে চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দনি ফারুক, প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জাতীয় ক্যানাসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডেমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জহিরুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির মহাসচিব ডা. এসএম আব্দুর রহমান, রোশ বাংলাদেশের হেড অব মেডিকেল ডা. ফারজানা হক।

Exit mobile version