হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, ক্যানসার, স্ট্রোকের মত অসংক্রামক রোগ দেশে বেড়ে যাওয়ায় এর চিকিৎসাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে জনবল ঘাটতিও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়ামুক্ত হওয়ার বিষয়ে সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “অসংক্রামক ব্যাধি দেশে বেড়ে যাচ্ছে। অসংক্রামক ব্যধির চিকিৎসা ব্যবস্থা এটা একটা চ্যালেঞ্জ, এগুলো মোবাকিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে।এই সমস্যা মেটাতে সময় লাগবে।”
দেশে চিকিৎসা সেবার পরিসর বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে হাসপাতালে ৩০ হাজার বেড ছিল, এখন ৭০ হাজার হয়েছে। ৭০ হাজার বেডকে পরিচালিত করতে হয়। মেডিকেল কলেজসহ নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে, প্রশিক্ষিত জনবল দরকার, এটার ঘাটতি আছে। আমরা চেষ্টা করছি ঘাটতিগুলো কমিয়ে আনতে।”
তবে দেশের ওষুধ শিল্পের যে অগ্রগতি হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ওষুধ এখন রপ্তানি হয়। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন বসানো আছে। অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো আছে। যার ফলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।“
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের পাশাপাশি মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাওয়ায় শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। আর গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা ভালো আছে বিধায় পোলিও, টিটেনাস, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে। জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলো উন্নত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ৫টি থেকে ৩৭টি হয়েছে। আইসিইউয়ের সংখ্যা ৫০০ থেকে ১৫০০ হয়েছে।”
চিকিৎসা সেবায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহিদ মালেক বলেন, “এটি আমি আংশিক গ্রহণ করতে পারি। কারণ সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে সেবা নিয়ে থাকেন। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ এটা আমরা এখনও পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি, এটা একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।“
কালাজ্বর নির্মূল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘কালাজ্বর’ সম্পর্কে গেল তিন বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে তারা বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কালাজ্বরমুক্ত ঘোষণা করেছে।
দেশে কালাজ্বরের বর্তমার হালচাল নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ১০ হাজারে একজনের কম রোগী হলে রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে।“