আবারো ২১-এ ফিরলো মৃত্যু। গত ১৮ মে থেকে মাঝে একদিন ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অবশ্য ২০ এর নিচে নামেনি। খবরের সেই ধারাবাহিকতা টিকে রইলো ঈদের পরদিন দুপুরেও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণহানি ঘটেছে ২১ জনের। একইসাথে ২০ মে’পর আক্রান্তের সংখ্যা নামলো দেড় হাজারের নিচে। মাঝে প্রায় ২ হাজারের কাছ থেকে ফিরে ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত এবার ১ হাজার ১৬৬ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান মেলার পর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৬ হাজার ৭শ ছাড়িয়েছে। মোট মৃত্যু ৫২২ জন। এর আগে ১৪ থেকে একলাফে উঠে গত ১৮ ও ১৯ মে টানা দুদিন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জন করে মারা যায়।
ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে চার হাজার ৪১৬টি, পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪০৭টি। এখন পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৫৭৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ১৪ জন পুরুষ ও সাত জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চার জন, বরিশাল বিভাগের দুই জন রয়েছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ১১ বছর থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন এবং বাসায় মারা গেছেন এক জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, সোমবার সন্ধ্যা দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ১৭ হাজার । এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৩ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষ।