গত ১৮ মে থেকে মাঝে একদিন ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যান ২০ এর নিচে নামেনি। বরং গত ২৪ ঘন্টায় সেই প্রাণহানি এবার ২৮ জনে গিয়ে ঠেকেছে। একইসাথে ২০ মে থেকে আক্রান্তের সংখ্যা নামেনি দেড় হাজারের নিচেও। বরং কখনো তা ১ হাজার ৮শও পার হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান মেলার পর রবিবার পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। চব্বিশ ঘণ্টায় ৪১৫ জন মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯০১ জন। পরিসংখ্যান বলছে, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার দেশে ২০.৩ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। জানান, ২৪ ঘন্টায় আরও ১, ৫৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৫৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৪৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ১৬৩ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে তিন হাজার ৬৩ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৮৭ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৩৪৬ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ১৫৩ জন।
বুলেটিনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৭টি ল্যাবে কভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৮৪টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৯০৮টি।