Site icon Health News

একদিনের প্রায় ১০ হাজার নমুনা সংগ্রহ ও ২১ জনের মৃত্যু

একদিনে ২১। ১০ দিনে ১৪৩। মৃত্যুর এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি আরো যা উল্লেখযোগ্য তা হলো একদিনে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি মানুষের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সক্ষমতা অর্জন। আর এর মধ্য দিয়েই দেশে নতুন করে ১ হাজার ৬০২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যুও সর্বোচ্চ।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২৩ হাজার ৮৭০ জন।

ডা. নাসিমা জানান, সর্বশেষ ২১ জনসহ এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪৯ জনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। এর আগে দুদিনে যে ৩০ জন মারা যান তাদের ২৯জনই ছিলেন পুরুষ।

সর্বশেষ মারা যাওয়া ২১ জনের বয়স সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৮ জন  ও ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫ জন রয়েছেন।

এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২১২ জন রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৪ হাজার ৫৮৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা  ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ১৭ হাজারের কাছাকাছি। অবশ্য ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৮ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ।

Exit mobile version