Site icon Health News

এবার কৃত্রিম মাংস বিক্রির অনুমতি দিল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো দুটি কোম্পানিকে পরীক্ষাগারে উৎপাদিত মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা মাংস ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রির অনুমতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরে কৃত্রিমভাবে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর এক মুখপাত্র বুধবার এএফপিকে বলেন, সংস্থাটি আপসাইড ফুডস এবং গুড মিট নামের দুটি কোম্পানির বিভিন্ন শাখার খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে। খুব শিগগির নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোরাঁয় এ দুই কোম্পানির তৈরি করা মাংস বিক্রি হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আপসাইড ফুডস এবং গুড মিট কোম্পানিকে কৃত্রিমভাবে মাংস তৈরির অনুমতি দেয়।

নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা করে কোম্পানিগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগও এ কৃত্রিম মাংসগুলো বিপজ্জনক কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে এবং নিরাপদ হিসেবে ছাড়পত্র দেয়।

আপসাইড ফুডসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উমা ভালেতি এক বিবৃতিতে বলেন, এ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে আরও টেকসই ভবিষ্যতের পথে বড় একটি ধাপ এগোনো গেল।

গুড মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোশ টেটরিক বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশটিও এখন ভোক্তাদের কাছে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা এ মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।

বিক্রির অনুমোদন পাওয়ার পর আপসাইড ফুডসের কাছে মাংস চেয়েছে সান ফ্রান্সিসকোর বার ক্রেন রেস্তোরাঁ।

গুড মিটও ইতিমধ্যে বিক্রির জন্য মাংস তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারকা রন্ধনশিল্পী হোসে আন্দ্রেসের কাছে প্রথম ধাপে তৈরি করা মাংসগুলো বিক্রি করা হবে। আন্দ্রেস ওয়াশিংটনের একটি রেস্তোরাঁয় মাংসগুলো বিক্রি করবেন। তবে রেস্তোরাঁটির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

পরীক্ষাগারে মাংস উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন কোম্পানিকে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।

তাদের দাবি, কৃত্রিমভাবে মাংস তৈরি করা হলে তাতে পরিবেশের ওপর খামারের প্রভাব কমানো যাবে এবং পশুদের দুর্ভোগও কম হবে। ২০২০ সালে সিঙ্গাপুরে সর্বপ্রথম ইট জাস্ট কোম্পানিকে কৃত্রিম মাংস তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।

পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে মাংস তৈরির জন্য প্রথমে জীবন্ত প্রাণী কিংবা নিষিক্ত ডিম থেকে কোষ সংগ্রহ করতে হয়। এরপর এগুলোকে ইস্পাতের ট্যাংকের ভেতর রেখে এগুলোকে খাওয়ার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়। প্রাণীদের যে ধরনের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন পড়ে, এগুলোকেও সে ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। এরপর ট্যাংকে মাংসগুলো তৈরি হয়ে যায়। এরপর এগুলোকে মুরগির মাংসের ফিলেট (হাড়বিহীন মাংস) বা সাতায়-এর মতো বিভিন্ন ধরনের আকৃতি দেওয়া হয়।

Exit mobile version