আর দুদিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদের মাংস সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই। আর এই না জানা বা ভুল ধারণার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়।
বারডেম হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ হেলথ নিউজকে বলেন, মাংসে প্রায়ই টিনিয়া সোলিয়াম নামের পরজীবীর সংক্রমণ হয়। তাই মাংস কাটার পর তা প্যাকেট করা ও সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন সতর্কতা।
কোরবানীর মাংস সংরক্ষণের কিছু উপায় জানিয়েছেন তিনি।
*কাঁচা মাংস যত দ্রুত সম্ভব ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। ডিপ ফ্রিজে ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে মাংস পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
*কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখলে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে খেয়ে ফেলা ভালো। কারণ, চার-ছয় মাস পর মাংসের পুষ্টিগুণ, গুণগতমান কমতে থাকে। তবে ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে যদি রাখা যায় তাহলে মাংস প্রায় এক বছর পর্যন্ত রাখা যাবে।
*কলিজা বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এতে স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
*রান্না বা কাঁচা যা-ই হোক না কেন, বড় বড় টুকরা করা ভালো।
*কোরবানির মাংস জিপলক প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একই ব্যাগে অনেক মাংস না রেখে অল্প অল্প করে কয়েকটি প্যাকেটে রাখুন। রাখার সময় প্যাকেট থেকে বাতাস বের করে নেবেন।
*মাংস ফ্রিজে রাখার আগে অবশ্যই মাংস থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাংসে যত পানি থাকবে, ততই এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ঘটবে। ডিপ ফ্রিজে আঁটোসাঁটো করে না রেখে একটু আলাদা করে রাখা ভালো।
*মাংস প্যাকেট করে ফ্রিজে রাখার আগে মার্কার দিয়ে পলিথিনের প্যাকেটে তারিখ লিখে রাখুন। এতে মাংস কতোদিন ধরে ফ্রিজে আছে তা সহজেই বের করতে পারবেন।
*রান্না করা মাংস ফ্রিজে রাখতে হলে ভাগ ভাগ করে পৃথক পাত্র বা কনটেইনারে রাখবেন। একেকবার খাবার সময় একেকটি কনটেইনার বের করে গরম করবেন।
*যাদের ফ্রিজ নেই, তারা পানি না দিয়ে কম মসলায় মাংস কষিয়ে রাখতে পারেন। এই মাংস প্রথম দুই দিন দিনে দুবার গরম করতে হবে। এরপর দিনে একবার করে গরম করলেও চলবে। ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ঢাকনা দেওয়া যাবে না।