Site icon Health News

ক্যান্সার প্রতিরোধক হাতের কাছেই

সারাবিশ্বে নানা ধরনের ক্যান্সার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। অনেক সময় ব্যক্তি ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ আগে থেকে টের পায় না। যখন ধরা পড়ে তখন হয়ত রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে অনেক বেশি।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক কয়েকটি ভেষজ উপাদান প্রাত্যহিক জীবনের খাদ্য তালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।

আমলকি

আমলকি হচ্ছে খবুই উপকারী একটি ভেষজ উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। বহু বছর ধরে গবেষণায় জানা গেছে, শরীরের ক্যান্সার সেল গঠন ও প্রতিরোধে বাধা দেয় আমলকি। স্বাস্থ্যকর কোনো কোষেরও ক্ষতি করে না এটা।

রসুন

বিশ্বের ১০টি দেশে পরিচালিত ইউরোপিয়ান পারসপেকটিভ ইন ক্যান্সার অ্যান্ড নিউট্রিশনের (ইপিআইসি) গবেষণায় আদা ও রসুন খাওয়ার সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার ইতিবাচক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। একই ফলাফল পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ফ্রান্সে পরিচালিত গবেষণাতেও। রসুনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ গঠন বাধা দেয়। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের দৈনিক কমপক্ষে ২-৫ গ্রাম বা এক কোয়া রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হলুদ

হলুদে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটি উপাদান হলো কারকিউমিন। প্রায় ২ হাজারের মতো গবেষণায় জানা গেছে, শরীরের ভালো কোষ অক্ষত রেখে ক্যান্সার কোষ নষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে কারকিউমিনের।

অশ্বগন্ধ

আয়ুর্বেদে অশ্বগন্ধ বা জিনসেং ব্যবহার হয় স্ট্রেস কমাতে। ৪০ বছর আগে প্রথম এর ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানের কথা জানা যায়। পরে এ গাছের পাতা নিয়ে করা গবেষণায় জানা যায়, এটা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে।

তুলসি পাতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও স্ট্রেস কমাতে তুলসি পাতা ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ফুসফুস, লিভার, মুখ ও ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

আদা

ওষুধ হিসেবে আদার ব্যবহার হয়ে আসছে প্রায় ২ হাজার বছর থেকে। বেশ কিছু গবেষণায় আদায় ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মিশিগান ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম্বাশষের ক্যান্সার কোষকে নষ্ট করে দেয় আদা। এছাড়া আদার ব্যবহারে কোলনের প্রদাহ কমার বিষয়ে জানা গেছে ক্যান্সার প্রিভেনশন রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণায়।

জীবনযাপন যত সুস্থ হবে ক্যান্সারের ঝুঁকি তত কম থাকবে। আর যত তাড়াতাড়ি এ রোগ ধরা পড়বে তত তাড়াতড়ি তা নির্মূল করা সম্ভব হবে। ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা সবসমসয় সক্রিয় থাকা, সুষম খাবার খাওয়া ও পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়ে থাকলে অন্য সদস্যদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

সূত্র: এনডিটিভি

Exit mobile version