সারাদিন নানা কাজে ঘোরাঘুরি করে ঘরে ফিরেই যেন শরীর হয়ে পড়ে অবসন্ন। এতটাই ক্লান্ত থাকে শরীর যে জুতা খুলতেও লাগে আলসেমি। সামান্য এ আলসেমির ফলাফলই হতে পারে ভয়াবহ।
গবেষকরা বলছে, জুতাতে থাকা নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ড. চার্লস গার্বা পরিচালিত এক গবেষণায় একটা জুতার বাইরের অংশে গড়ে ৪ লাখ ২১ হাজার ইউনিট ও ভেতরের অংশে ২ হাজার ৮৮৭ উইনিট ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে এসছেরিচিয়া কোলি, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া ও সেরাটিয়া ফিকারিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছিল, যারা নানা ধরনের সংক্রমণের জন্য দায়ী।
গবেষণায় বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় হাঁটাহাঁটি করায় প্রতিদিন আমরা এত বেশি ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসি যা হয়ত চিন্তাও করতে পারি না।
তবে নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স ও টেকনোলজির প্রিন্সিপাল লেকচারার মাইকেল লগলিন বলেন, ব্যাকটেরিয়া সব জায়গাতেই রয়েছে।
তার মতে, জুতাতে পশুপাখির মলমূত্র লেগে না গেলে জুতার ব্যাকটেরিয়া ঘরে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তেমন আশঙ্কার কিছু নেই। মলমূত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া খুব ক্ষতিকর হলেও এটা মোকাবেলা করা সম্ভব। আর জুতার সোলে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষতির আশঙ্কা কম।
ড. গার্বা ও তার সহকর্মীরা যে গবেষণা করেন তাতে দেখা গেছে, নতুন কেনা এক জোড়া জুতা মাত্র দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলেই তাতে ৪ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তবে জুতাতে পশুপাখির মলমূত্র লাগলে বাসায় ফেরা মাত্রই তা একটু কষ্ট করে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এতে মোট ব্যাকটেরিয়ার কমপক্ষে ৯০ শতাংশ পরিষ্কার করা সম্ভব।