লোভ জাগালেও চকলেটকে না বলে রেখেছেন মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি; অথচ তারই কি না একটি খেতাব আছে ‘মিস হট চকলেট’।
চকলেট ছাড়াও শর্করা ও চর্বিজাতীয় নানা খাবারকে রসনা থেকে দূরে রেখেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই আইরিশ সুন্দরী; উদ্দেশ্য একটাই শরীরকে ফিট রাখা।
পেশায় বৈমানিক প্রিয়তি সম্পর্কে অনেকেরই জানা, তার ফিটনেস রহস্য জানার আগে তবু চলুন তাকে জানাটা আরেকটু ঝালাই করে নিই।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মডেল-অভিনেত্রী ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাব জেতেন ২০১৪ সালে। এরপর থেকে আইরিশ শোবিজ জগতে তিনি পরিচিতমুখ। ওই বছর জিতে নেন ‘মিস হট চকলেট’ খেতাব।
মিস আয়ারল্যান্ড আর্থ, মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি ও মিস ফটোজেনিক খেতাবেও ভূষিত প্রিয়তি। ২০১৫ সালে প্রথম এশিয়ান-আইরিশ মডেল হিসেবে অনলাইন ম্যাগাজিনের কভার পেজে স্থান করে নেন তিনি। ২০১৬ সালে জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠিত মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় আয়ারল্যান্ডকে উপস্থাপনও করেন তিনি।
আকর্ষণীয় ফিগারের জন্য জনপ্রিয় প্রিয়তি মনে করেন, ব্যক্তিত্বের প্রধান অংশ হল নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। তার মতে, সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর মনের সমন্বয় প্রয়োজন। আর শারীরিকভাবে ফিট থাকলে মনও ভালো থাকে।
মূলত বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অংশ হিসেবে নিজের শরীর ঠিক রাখার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠলেও বর্তমানে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিকল্প এখন আর কিছু তিনি ভাবতেই পারেন না।
কীভাবে নিজেকে ফিট রাখছেন প্রিয়তি?
হেলথ নিউজকে প্রিয়তি বলেছেন, শরীর ঠিক রাখা হলো সুস্বাস্থ্যের অংশ। আর স্বাস্থ্যই হলো সম্পদ। আর সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে খাবারে।
কেউ যদি শরীরচর্চা করেন এবং পাশাপাশি শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার গ্রহণ করেন, তাহলে কখনই তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে না বলে মনে করেন প্রিয়তি। নিজের শরীর ঠিক রাখতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন জিমে যান প্রিয়তি; আর দুই দিন নাচ করেন।
ঘরে তৈরি খুব সাধারণ খাবারই পছন্দ আইরিশ এ মডেলের। তার দিন শুরু হয় খালি পেটে দু গ্লাস পানি দিয়ে। এরপর খেয়ে নেন দুটা ডিম। এক ঘণ্টা পর খান একটা আপেল বা কলা অথবা অন্য কোনো ফল। কখনও কখনও এক কাপ কফি।
দুপুরের খাবারে মাছ খেলে রাতে তিনি খান মাংস। অথবা দুপুরে মাংস ও রাতে মাছ খান। আর দুবেলার খাবারেই অবশ্যই থাকে প্লেট ভর্তি সবজি ও সালাদ। সারাদিনে ১৮০০-২০০০ ক্যালরির খাবার গ্রহণের চেষ্টা করেন ৫ফিট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার এ মডেল। সারাদিনে প্রচুর পানিও পান করেন তিনি।
তার রূপচর্চা বলতে কেবল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার বা সানস্কিন লোশন লাগিয়ে বাইরে যাওয়া। আর মেকাপ করলে বাসায় ফিরে মুখ পরিষ্কার করে আবার ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নেন তিনি।
প্রিয়তি মনে করেন, শাক সবজি, ফল, পানি এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে খেলে ত্বক এমনিতেই ভালো থাকে। তখন আলাদা করে রূপচর্চার প্রয়োজন পড়ে না। আর ফেসিয়াল ও স্কিন ট্রিটমেন্ট করে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড খেলে কখনই ত্বক ভালো থাকবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
খাবারের পাশাপাশি রাতে খুব ভালো ঘুমের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। রাতের ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসেও কোনো লাভ হবে না বলে জানান তিনি। রাতে শরীরে যে হরমেোন নির্গত হয় তা শরীর, ত্বক, বিপাক হার ভালো রাখে এবং পেটের চর্বি প্রতিরোধ করে।