এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৪১৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সংখ্যা এ বছর একদিনের সর্বোচ্চ।
সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রেকর্ড ২,২৯৩ জন। পরদিনই ভর্তি রোগীর সংখ্যার আগের রেকর্ড ভাঙল।
নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ৬৮৮ জনে। এর মধ্যে জুলাই মাসের ২৫ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৭১০ জন।
গত একদিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ২০১ জনের মৃত্যু হল ডেঙ্গু জ্বরে।
গত একদিনে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে রোগী বেশি। ঢাকায় ১১৬২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৫৬ জন রোগী।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ হাজার ৯২৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ২৮১ জন।
জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। জুলাইয়ের ২৪ দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে পাঁচগুণ হয়েছে।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১ হাজার ৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
https://a810ed30416df5628377426ca6b4fb23.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.html এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।