Site icon Health News

ডেঙ্গুর খবর বেশি প্রকাশিত হওয়ায় মানুষ আতঙ্কিত: প্রধানমন্ত্রী

গণমাধ্যমে ডেঙ্গুবিষয়ক খবর অনেক বেশি প্রকাশিত হওয়ার কারণে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে আর সেটাই সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এবার ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগাম সতর্কতা দেওয়ার পরও সিটি করপোরেশন আগাম ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সিটি করপোরেশন একেবারেই ব্যবস্থা নেয়নি, কথাটা কিন্তু ঠিক নয়। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় সময় যেটা হয়ে যায় যে, ঘটনাগুলো এমনভাবে ছড়ায় যে, আর সংবাদগুলো যখন বেশি আসে, মানুষ এত বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে, সেটাই সমস্যাটা সৃষ্টি করে।”

“শুধু সিটি করপোরেশনকে দোষ দিলে তো হবে না। এই ডেঙ্গুর ব্যাপারে প্রত্যেকটা মানুষকে নিজেকে সতর্ক হতে হবে। প্রত্যেকটা পরিবারকে সতর্ক হতে হবে। যার যার নিজের ঘরবাড়ি, বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে।”

ডেঙ্গু মোকাবেলায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঘর থেকে কাজ শুরুর উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আরেকটা ঘোষণা আমরা দিয়েছি যে, কারও ঘরের কাছে বা ঘরে যদি এ ধরনের পানি জমা যেখানে এ ধরনের মশা তৈরি হচ্ছে, এরকম আমরা যদি দেখতে পাই, তাহলে তাদেরকে ফাইন করা হবে।”

“ধরেন আপনার দরজার কাছে বা যেটা আপনার আওতায় সেখানে যদি ওই ধরনের পানি জমে থাকে, তাহলে সেটা আপনার একটা দায়িত্ব থাকবে যে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে পানিটা জমে না থাকে।”

মশার ওষুধ কেনার বিষয়ে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে মশার ওষুধ কেনা হয়। যারা উপযুক্ত হয় দরপত্রে তারা কিনে নিয়ে আসে ওষুধ।

আগামীতে কীভাবে আরো সুষ্ঠভাবে ডেঙ্গুর মোকাবিলা করা হবে? বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা একটা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা শুধু সরকারের উপর নির্ভর করে না থেকে আমার দলের সকল নেতাকর্মী এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে আমি আহ্বান করেছি।

“শুধু ঢাকা শহর না, সমগ্র বাংলাদেশে আমরা একটা পরিচ্ছন্নতার অভিযান আমরা শুরু করেছি। আমাদের রাজনৈতিক সংগঠনের যত নেতাকর্মী তাদেরকে যেমন সম্পৃক্ত করেছি, আবার সরকারি যত অফিস, আদালত প্রত্যেককে আমি নির্দেশ দিয়েছি। আর তাছাড়া সিটি করপোরেশনগুলো তো আছেই।”

জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে- মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা সারাবছর ধরেই অব্যাহত রাখতে হবে।”

Exit mobile version