Site icon Health News

ডেঙ্গু: আরো ১০ মৃত্যু

দেশে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ২৬১ জনের মৃত্যু হল।

হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫৮৪ জন। তাদের মধ্যে ১৪৫৩ জন রোগীই ঢাকার বাইরের। আর ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১১৩১ জন রোগী।

নতুন আক্রান্তদের নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪১৬ জনে।

বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ এবং ২০২২ সালে এর চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর ২০২২ সালে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

তবে এ বছরের জুলাই মাস শেষে ভর্তি রোগী ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ২৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৮৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৩৯৫ জন।

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী। জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হলেও জুলাই মাসে প্রাণ যায় ২০৪ জনের।

আর মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তাদের মধ্যে থেকে জানুয়ারিতে ছয়, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ও মে মাসে দুই জন করে এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।

এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।

Exit mobile version