Site icon Health News

ডেঙ্গু মহামারীর পর্যায়ে যায়নি

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও এডিস মশাবাহিত রোগটিকে ‘মহামারী’ ঘোষণার সময় আসেনি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য  অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম।

তিনি বলেছেন, “মহামারীর একটা ব্যাখ্যা আছে। সেটার সঙ্গে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর অবস্থা যায় না বলেই আমি জানি। তবে এ ব্যাপারে যারা পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট যারা আছেন, তারা ভালো বলবেন।”

বৃহস্পতিবার ঢাকার এফডিসিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে খুরশীদ আলম বলেন, “কোভিডের সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, সে সময় এর প্রভাবও পড়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যখন লকডাউন এবং কাজ- দুটো একসঙ্গে চলেছে, সেজন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খারাপের দিকে যায়নি।

“আমি মনে করি, এই অবস্থা জারি করার আগে যারা পলিসি নিয়ে কাজ করছেন, যারা এটা নিয়ে বলবেন- তাদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসলেই ভালো হবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে মোট ১৭৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।

তাদের নিয়ে এবছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ হাজার ৫৪৭ জনে,তাদের ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

শুধু জুলাই মাসের ১৯ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। এই সময়ে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছরের মোট মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশ।

এ অবস্থায় ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা’ জারির পরামর্শ এসেছে বিশেষজ্ঞদের কারও কারও তরফে।

‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট’ শিরোনামে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

https://8e104d310076a7b3ae01ca362b628cd1.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.html ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “দেশের ৬৪টি জেলায় এরইমধ্যে ডেঙ্গু ছড়ালেও প্রকোপ ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন শুধু বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তৎপর থাকায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

“ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরব্যাপী কার্যক্রম না চালালে এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। অথচ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ার শঙ্কা আগামী অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে। তখন পরিস্থিতি কী হবে- তা ভাবতে ভয় হচ্ছে।”

কিরণ বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি, তবে জনসচেতনতার নামে শুধু নগরবাসীর উপর এইডিস মশা বিস্তারের দায় চাপানো সঠিক হবে না।”

‘নাগরিক সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের হারিয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়।

Exit mobile version