Site icon Health News

দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু সিসা দূষণের শিকার

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারে সিসার বিষক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালানোর তাগিদ এসেছে এক জাতীয় সংলাপে।

আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে বেসরকারি খাতের সঙ্গে এ জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) ফাহমিদা খানম বলেন, “আমাদের খাবারে সিসা ঢুকে গেছে। কিভাবে এটি খাবারে ঢুকলো, সে বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন।”

নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে সিসার দূষণ ঠেকানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যেসব পণ্যে সিসা আছে, সেসব পণ্যে লেবেল ব্যবহার করতে হবে। সেখানে কী পরিমাণ সিসা আছে- তা উল্লেখ করে দিতে হবে। তাহলে মানুষ সচেতন হবে, এসব পণ্য কম ব্যবহার করবে।”

সিসার ব্যবহার হচ্ছে- এমন সব প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে আনার তাগিদও দিয়েছেন ফাহমিদা খানম।

জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ তৈরি করা সিসা বিষক্রিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। বছরে হাজারো মৃত্যুর পাশাপাশি লাখো মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করছে সিসা দূষণ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদের বলেন, “উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমরা এখন দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু সিসা নারী-পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। সিসা দূষণ আমাদের হিউম্যান রিসোর্সে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সেজন্য এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।”

অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি ইমা ব্রিগহাম বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসা দূষণের শিকার।

“সিসার বিষক্রিয়ায় শিশুদের মস্কিষ্কের বিকাশ কমে যায়। শিশুদের বিকাশ ও সুরক্ষা নিশ্চিতে সিসা দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে।”

Exit mobile version