কুমিল্লার গৃহবধূ মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর মামলায় ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মুনা সাহা ও শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিন মঙ্গলবার তাদের জামিনের আদেশ দেন বলে আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম জানান।
এদিন দুই চিকিৎসকের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করলে শুনানি নিয়ে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
চিকিৎসায় গাফিলতি অভিযোগে ইডেন কলেজের ছাত্রী আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর এ মামলায় গত ১৫ জুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুনা সাহা ও শাহজাদী মুস্তার্শিদা। আদালতের নির্দেশে সেসময় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ওইদিন আসামিরা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক রাসেল।
পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী আসামি শাহজাদী মুস্তার্শিদার এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা আসামি মুনা সাহার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ধানমণ্ডি থানায় আঁখির স্বামী মুহাম্মদ ইয়াকুব আলীর করা এ মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মুনা সাহা ও শাহজাদী ছাড়াও ডা. মিলি, ডা. এহসান, অধ্যাপক সংযুক্তা সাহার সহকারী জমির এবং হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয় এজাহারে।
প্রসবব্যথা উঠলে গত ৯ জুন মধ্যরাতে কুমিল্লা থেকে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে আঁখিকে নিয়ে আসেন তার পরিবার।
ইয়াকুব আলীর ভাষ্য, সেদিন তাদের বলা হয়েছিল ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে আছেন। কিন্তু সেদিন ওই চিকিৎসকের সহকারীরা প্রথমে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেন। সে সময় জটিলতা তৈরি হলে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুটি ওইদিনই মারা যায়।
পরে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে নিয়ে আঁখিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৮ জুন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখিও মারা যান।