Site icon Health News

নিঃশব্দ ঘাতক হয়ে আসছে যৌনরোগ ‘এমজি’

খুব বেশি জানা যায় না, রোগ হলে বোঝাও যায় না সহজে- সেই ‘মাইক্রোপ্লাজমা জেনিটালিয়াম (এমজি)’কেই বড় শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, এখন থেকে সতর্ক না হলে এই যৌনরোগটিই নিঃশব্দে বড় ঘাতক হয়ে দেখা দেবে।

ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সেক্সুয়াল হেলথ অ্যান্ড এইচআইভি এই রোগটির বিষয়ে নতুন এই সতর্কবার্তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এমজি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট একটি রোগ। এটি হলে পুরুষের ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, এটি হলে পুরুষের জননাঙ্গ দিয়ে রস নিঃসরণ ঘটবে, ব্যথা হবে পেশাবের সময়।

অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে প্রজনন অঙ্গে প্রদাহ হবে, যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে, আসতে পারে জ্বর। এই রোগ থেকে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা হারোনোর ঝুঁকিও তৈরি হয়।

গত শতকের ৮০ এর দশকে প্রথম এই রোগটি সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে; তাতে দেশটির ১-২ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল।

এমজির সমস্যা হল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ দেহে বাসা বাঁধলেও তার লক্ষণ সহজে প্রকাশিত হয় না। ফলে রোগ নিয়ে উদাসীনতার সুযোগে পরে এই ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, আর সেটাকেই ভয়ঙ্কর বলছেন গবেষকরা।

এই রোগ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়; তাই কনডম ব্যবহার করে সংক্রমণ এড়ানো যেতে পারে।

এই রোগ প্রতিরোধে যে নীতিমালা জারি করেছে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সেক্সুয়াল হেলথ অ্যান্ড এইচআইভি, তাতে কনডম ব্যবহারের উপরই জোর দেওয়া হয়েছে।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের পরামর্শক ডা. হেলেন ফিফার বলেন, “যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবাইকে কনডমের সঠিক ব্যবহারের উপর মনোযোগী হতে হবে।”

সন্দেহ হলে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

রোগ প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়নে যুক্ত প্যাডি হর্নার বলেন, “এই রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত এমজি টেস্ট করাতে বলছি আমরা। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।”

তবে এমজি টেস্ট এখনও যুক্তরাজ্যে সব স্থানে সহজলভ্য না হওয়ায় সেই ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি সুপারিশ জানিয়েছেন হর্নার।

Exit mobile version