আধুনিক ইউরোপের বহু ঐতিহ্যর ধারক ইতালি পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন করে নাম উঠালো। আর তা আধুনিক যুগেই শুধু মৃত্যুর হিসেব দিয়েই।
প্রতি ঘন্টায় যেখানে মারা গেছেন ২৬ জন মানুষ। টানা ২৪ ঘন্টায় সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকেছে ৬২৭ জনে।
করোনা ভাইরাসে যা নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩২ জনে। অন্যদিকে রয়টার্স জানিয়েছে ইরানে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪ শ ছাড়িয়েছে।
ঠিক ৩০ দিন আগে ইউরোপের এই দেশটিতে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ঘন্টা ধরে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা । এরইমধ্যে সেখানে মৃত্যু নতুন এই ভাইরাসের উৎসস্থল চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শুক্রবারের আগ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। এবার মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৮ শতাংশের বেশি বেড়ে ৬২৭ জন হল।
চীনে ব্যাপকভাবে সংক্রমণের সময় এই ভাইরাস যখন বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে তখনও দেশটিতে টানা ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যায়নি।
ফলে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ১৭৯টি দেশ ও অঞ্চলে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৩ জন।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের রেকর্ডটিও এখন ইতালির।
করোনাভাইরাসের উৎস চীনে এ পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন। অপরদিকে ৭১ হাজার ১৫০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ইরানে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪০৭ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ৪শ জন। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৭ জন, মারা গেছেন ৮৩১ জন।
ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯৫ জন, মারা গেছেন ৩৭২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ হাজার ২৯৯ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৬৫২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৯৪ জন।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৬৯ জন, মারা গেছেন ১৪৪ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ভাইরাসটির আঁতুড়ঘর চীন এই মহামারীর ফাঁড়া কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
নতুন করে আক্রান্ত কমে আসায় উহানের অস্থায়ীভাবে খোলা হাসপাতালগুলো গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে।
গত বছরের (২০১৯) ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশ
থেকে ছড়িয়ে পড়ে নোভেল করোনাভাইরাস।