Site icon Health News

বাজেটে স্বাস্থ্যের ‘স্বাস্থ্য’ ভালো হয়নি

টাকার অঙ্কে বাড়লেও নতুন অর্থবছরের বাজেটে অন্যান্য খাতের তুলনায় বরাদ্দ কমেছে স্বাস্থ্য খাতে।

গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এই খাতে ২৩ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থাৎ টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বেড়েছে ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
কিন্তু বিদায়ী অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ৫ শতাংশ। অর্থাৎ বরাদ্দের হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
গত বার স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা; সেক্ষেত্রে এবার অবস্থার উন্নতি তো হয়নি, বরং সামান্য অবনতি হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের যে বরাদ্দ হয়ে থাকে, তার বেশিরভাগই নির্মাণ ও বেতন পরিশোধে চলে যায় বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “এ খাতে বাজেটের বেশির ভাগই বেতনভাতা ও নতুন নতুন নির্মাণ কাজে চলে যাচ্ছে। সেখানে প্রকৃত অর্থে মানে জনগণের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সম্পদ বা অর্থ থাকে কম।”
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, স্বাস্থ্য খাতে ৭ বা ৮ শতাংশ বরাদ্দ হলে আরও বেশি অর্জন সম্ভব হত।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মুহিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার দুই ধাপে নয় হাজার ৭৯২ জন ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”
ডাক্তার ও নার্সের অনুপাত ২:১ রাখতে অতিরিক্ত চার হাজার সিনিয়র নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও ২০২১ সালের মধ্যে প্রসবকালে শিশুমৃত্যু এবং মাতৃমৃত্যুর হার ‘শূন্য’ করার লক্ষ্যে ৬০০ ধাত্রী নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথাও তিনি বলেন।
রোগীদের জন্য ‘মানসম্মত সেবার নীতিমালা’ এবং চিকিৎসকদের ‘পেশাদারি সুরক্ষা’ নিশ্চিতে আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনার কথাও মুহিত বলেন।


প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজ্‌ড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারে উন্নীত করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা এবং ভাতার মেয়াদ ২ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর নির্ধারণ করে ভাতাভোগীর সংখ্যা ৬ লাখ থেকে ৭ লাখে উন্নীতের প্রস্তাবও করা হয়েছে বাজেটে।
কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তার আওতায় মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা হতে ৮০০ টাকায় বৃদ্ধি এবং ভাতা প্রদানের মেয়াদ ২ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর নির্ধারণ এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ থেকে আড়াই লাখে উন্নীতের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

Exit mobile version