Site icon Health News

বিএসএমএমইউতে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়েছে।

গত সপ্তাহে (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ইনফার্টিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানুর তত্ত্বাবধানে সফল সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রথম টেস্টটিউবশিশুর জন্ম হয়।

জানা গেছে, বরিশালের বাসিন্দা নিঃসন্তান এই দম্পতি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছিলেন।২০২২ সালে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এই বিভাগ তাকে আইভিএফ উইথ আইসিএসআই (ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন, যা আইসিএসআই নামে পরিচিত, ডিমের সাইটোপ্লাজমে শুক্রাণু কোষকে ইনজেকশন দেওয়ার একটি কৌশল। এই কৌশলটি আইভিএফের একটি বিশেষ রূপ যা পুরুষ-ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্বের গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়) এর পরামর্শ দেওয়া হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির গ্রহণের মাধ্যমে তারা এ চিকিৎসা শুরু করেন।

বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, চিকিৎসা শেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই নবজাতকের মা গর্ভধারণ করেন এবং নিয়মিত চেকআপে থাকেন। ৩৮ সপ্তাহ পর  টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টেস্টটিউব নবজাতকের জন্মগ্রহণের মাধ্যমে আরেকটি সফলতার পালক যুক্ত হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের প্রধান ডা. জেসমিন বানু জানান,  সাধারণত বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় শতকরা ৫-১০ শতাংশ রোগীদের আইভিএফ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।

তিনি জানান, ২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখানে ইনফার্টিলিটি বিভাগ চালু হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে আমার তত্ত্বাবধানে টেস্টটিউব বেবির আইভিএফ পদ্ধতি পুরোদমে চালু হয়। করোনাকালীন সময়ে এ সেবা কিছুটা স্থগিত থাকে।

Exit mobile version